পোস্টগুলি

রম্য গল্পঃ টিভি অথবা একজন নোয়াখাইল্যার গল্প

ছবি
আবুল মিয়া গ্রাম থেকে শহরে নতুন এসেছেন।জীবনে এই প্রথম শহরে আসা,গা থেকে এখনও মাটির গন্ধ মুছে যায়নি।যা দেখছেন তাতেই অবাক হয়ে যাচ্ছেন। ভাবছেন, আহা কি সৌন্দয।হাতে কিছু কাচা টাকা আছে।তাই সবকিছুই কিনে ফেলতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু না।আবুল সবকিছু কিনবে না।কারন সে ভাল করেই জানে চকচক করলেই সোনা হয় না।যা কিছু সুন্দর তা-ই যে আবুলের কাজে লাগবে এমন কোন কথা নেই।তাছাড়া এগুলো তো আর আবুলের টাকা নয়।তার ভাইজানের টাকা।ইচ্ছেমত খরচ করা যাবে না।ভাইজানকে হিসাব দিতে হবে। ওহহো... আবুলের বড় ভাই কাবুল মিয়ার কথাতো আপনাদের বলতে ভুলেই গেছি।কাবুল মিয়া আবুলের বছর পাচেকের বড়।নকল করে কোনরকমে এস এস সি পাস করেই পাড়ি জমিয়েছে দুবাই।মাসে মাসে টাকা পাঠিয়েছে যা দিয়ে সংসার চলেছে।এখনও তার আয়েই ঘর চলছে।

চট্টগ্রাম!চট্টগ্রাম!!চট্টগ্রাম!!!আসুন চট্টগ্রামের ভাষা শিখি ( সকল চিটাইংগা এবং নন-চিটাইংগার জন্য একটি অবশ্য পাঠ্য পোস্ট) ;););)

ছবি
চট্টগ্রামের মানুষদের বিরুদ্ধে একটা বড় অভিযোগ দুজন চিটাগুনিয়ান একসাথে হলেই আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা শুরু করে, আশেপাশে আর খেয়াল থাকেনা। চট্টগ্রামের ভাষাটাও এমন চট্টগ্রামের লোক ছাড়া বাকিদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। আরে বাকিরা বুঝবে কি - আমি নিজে জন্মসূত্রে চিটাগুনিয়ান হওয়া সত্বেও শহরে বড় হওয়ার কারণে অনেকের অনেক কথা বুঝি না। তো আমার যে সকল ভাই আমাদের ভাষা বুঝেননা তাদের জন্যই আমার এই চট্টগ্রামের ভাষা শিক্ষা কোর্সঃ

আমি একখান নোট লিখতাম চাই

ফেসবুকেতে চলছে এখন নতুন একটা ট্রেন্ড নোট লিখে তুমি ট্যাগ করে দাও তোমার যত ফ্রেন্ড। বিষয়ের কোন বালাই নেই, নেই তার আগামাথা তুমি শুধু লিখে যাবে তোমারি মনের কথা। সাহিত্যমান নাইবা থাকুক, কিবা যায় তাতে আসে পাত্তা তুমি দিয়ো নাকো যদি লোকে নোট পড়ে হাসে। পচাতে যদি চাও কাউকে লিখে ফেলো তুমি নোট ফ্রেন্ডগুলোকে ট্যাগ করে দাও সেই নোটে ঝটপট।

অভাগার এক দিন (একটি মিষ্টি প্রেমের কবিতা)

ঘুম থেকে জাগিয়া জলদি হাগিয়া অফিসে গেলাম ভাগিয়া। রাস্তায় পড়ে জ্যামে পথ চলা যায় থেমে টেনশনে উঠি ঘেমে। তবু হয়ে যায় লেট বন্ধ হয় গেট লজ্জায় মাথা হেট।

রম্য গল্পঃ তথ্যমন্ত্রীর ঘড়ি

বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রির স্ত্রী একবার স্বর্গ ভ্রমণের সুযোগ পেলেন।যথাসময়ে তিনি স্বগ পৌছুলেন।দেখলেন পুরো স্বগ জুড়ে শুধুই ঘড়ি আর ঘড়ি।কিন্তু একেক ঘড়িতে একেক সময়।অনেক চিন্তা ভাবনা করেও তিনি এর কারন বের করতে পারলেন না। তিনি এক দেবতার কাছে জানতে চাইলেন,"আচ্ছা পুরো স্বগ জুড়ে শুধুই ঘড়ি আর ঘড়ি কেন?আর একেক ঘড়িতে একেক সময়। সময় দেখার জন্য তো একটা ঘড়িই যথেস্ট।বাকি ঘড়িগুলোর কাজ কি?" দেবতা মুচকি হেসে বল্লেন,"এই ঘড়িগুলো পৃথিবীর একেক দেশের তথ্যমন্ত্রির জন্য বরাদ্দ।যিনি যত বেশি মিথ্যা কথা বলেন তার ঘড়ির সময় তত এগিয়ে যায়।প্রতিটি মিথ্যা কথার জন্য সময় ১৫ মিনিট এগিয়ে যায়। " "হুমম" মাথা নাড়লেন তথ্যমন্ত্রির স্ত্রী।"আমি কি একবার ঘড়িগুলো দেখতে পারি?"