পোস্টগুলি

রম্য গল্প লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রম্য গল্পঃ কালো বিড়ালের ঘড়ি

ছবি
এ জার্নি ইন এ বার্নিং ট্রেন কয়েকদিন পরের কথা।মিসেস আবুল আইমিন আমাদের তথ্যমন্ত্রীর স্ত্রী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকতে থাকতে তার আর ভাল লাগছিল না।তার আবুল পদ্মা সেতু আইমিন পুলসেরাত বিস্ফোরিত হয়ে জাহান্নামের বুকে পড়ে আছে।প্রান ভোমরার জন্য কিছু করা দরকার।সুতরাং তিনি ডেকে পাঠালেন ফেরেশতাকে। একটু পর দরজার ফাকে ফেরেশতাকে দেখা গেল। -আমায় ডেকেছেন? -হ্যা। -কেন? -আমার আর হাসপাতালে থাকতে ভাল লাগছে না। -কেন? -আরে ভাই আমরা হলাম পলিটিশিয়ানের স্ত্রী।আমরা রাজপথে বা বক্তৃতার মঞ্চে বসে থাকতে পারি অন্তহীন সময়।কিন্তু হাসপাতালে আসলে এভাবে বসে থাকা যায় না কোন কাজ ছাড়া। ফেরেশতাকে চিন্তিত দেখাল। -আপনি তাহলে চলে যেতে চান? -হুম। -আসল কথাটা বলুন তো। -মানে? -মানে আপনি হলেন আবুল হোসেনের স্ত্রী।আর আবুল হোসেন হলেন ব্যবসায়ী, নট রাজনীতিবিদ।আপনারা রাজপথে বা বক্তৃতার মঞ্চে না, এসি অফিস আর কিটি পার্টিতে ঘন্টার পর ঘন্টা অকারনে নষ্ট করতে পারেন।আপনার এই যুক্তি অসার। সুতরাং আসল সত্য কথাটা বলুন। উনার মুখ কালো হয়ে গেল। -আসলে আমার জানু আবুলের জন্য মনটা কেমন যেন করছে।জানিনা জাহান্

রম্য গল্পঃ আবুল হোসেনের ঘড়ি

ছবি
তো আবার বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর গল্প।বারবার তথ্যমন্ত্রীর স্ত্রী বলতে ভাল লাগে না, একটা সুইটেবল নাম দরকার। যেহেতু একসময় আবুল হোসেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ছিলেন। সুতরাং ধরে নেই তার স্ত্রীর নাম মিসেস আবুল। তো মিসেস আবুল স্বর্গে গেছেন, সব ঘুরে ফিরে দেখছেন আর যেখানেই যান, দেখতে পান খালি শয়ে শয়ে ঘড়ি। কি কাজ এসব ঘড়ির? একেবারেই সিম্পল। এসব ঘড়ি বরাদ্দ সব পলিটিসিয়ানের নামে। তারা যখনি একটা মিথ্যা বলেন, সাথে সাথে ঘড়ির সময় ১৫ মিনিট এগিয়ে যায়।বহুকাল ধরে এভাবেই চলে আসছে। তো মিসেস আবুল একদিন ঘুমিয়ে ছিলেন।হঠাৎ সকালবেলা প্রচন্ড শব্দে তার ঘুম ভেঙ্গে গেল।বেচারীতো ভয় পেয়ে গেলেন।ভাবলেন স্বর্গেও আবার জঙ্গী হামলা হল নাকি? বেচারী গলা ছেড়ে কাদতে লাগলেন, ওরে, কে কোথায় আছিস??? আমাকে স্বর্গ নামক এই নরক থেকে উদ্ধার কর।

রম্য গল্পঃ হাসিনা-খালেদা-এরশাদের স্বর্গযাত্রা

ছবি
// এক // ধরা যাক, ইন্ডিয়ান চ্যানেলগুলোর মত বাংলাদেশেও কমেডি ট্যালেন্ট হান্ট শো চালু হয়ে গেছে। এমনই একটা শো তে বিশেষ গেস্ট হিসেবে এসেছেন চার রাজনীতিবিদ- শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া, এরশাদ এবং নিজামী। তারা চারজন পাশাপাশি বসেছেন। অনুষ্ঠান শুরু হল। ... একজন প্রতিযোগী এসে একটা জোক্স বলল। জোক্সটা এরকম..... " পুলিশের ইমারজেন্সি বিভাগে একজন মহিলা কল করলেন। দায়িত্বরত পুলিশ ফোন রিসিভ করে সমস্যা জানতে চাইলেন- মহিলা: আমি আমার বেডরুম থেকে বলছি। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যে কোন মুহূর্তে আমি খুন হতে পারি। পুলিশ : কে আপনাকে খুন করবে? মহিলা: আমার বাসার বাইরে দাড়ান লোকটি আমাকে খুন করতে পারে। পুলিশ : এ মুহুর্তে আপনি কি বাসাই সম্পূর্ন একা ?নাকি পরিবারের অন্য কোন লোক আছে?

রম্য গল্পঃ সাহারা খাতুনের ঘড়ি

তো বেশ কিছুদিন হয়েছে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রীর স্ত্রী স্বর্গ ভ্রমনে গেছেন।দেখেছেন স্বর্গ জুড়ে শুধুই ঘড়ি আর ঘড়ি।এই ঘড়িগুলো পৃথিবীর একেক দেশের তথ্যমন্ত্রির জন্য বরাদ্দ।যিনি যত বেশি মিথ্যা কথা বলেন তার ঘড়ির সময় তত এগিয়ে যায়।প্রতিটি মিথ্যা কথার জন্য সময় ১৫ মিনিট এগিয়ে যায়। আর তার স্বামী প্রতিনিয়ত মিথ্যা কথা বলেন, ফলে তার ঘড়ির কাটা ঘুরতে থাকে ফ্যানের মতই দ্রুত।  এই ঘটনা জানার পর তার মন একটু খারাপ হল।তাই তিনি এক দেবতাকে প্রশ্ন করলেন, ‘আচ্ছা, খালি কি তথ্যমন্ত্রীদের জন্যই ঘড়ি বরাদ্দ? বাকিদের জন্য ঘড়ি বরাদ্দ নেই?’ দেবতা জবাব দিলেন, ‘থাকবে না কেন? অবশ্যই আছে।তবে সেগুলো অন্য দেবতাদের জন্য।জিউসের এখানে খালি তথ্যমন্ত্রীদের ঘড়িই আছে।’ ‘আচ্ছা বাকি মন্ত্রীদের ঘড়িতেও কি সময় এগিয়ে যায়?’ ‘জানি না।’

রম্য গল্পঃ টিভি অথবা একজন নোয়াখাইল্যার গল্প

ছবি
আবুল মিয়া গ্রাম থেকে শহরে নতুন এসেছেন।জীবনে এই প্রথম শহরে আসা,গা থেকে এখনও মাটির গন্ধ মুছে যায়নি।যা দেখছেন তাতেই অবাক হয়ে যাচ্ছেন। ভাবছেন, আহা কি সৌন্দয।হাতে কিছু কাচা টাকা আছে।তাই সবকিছুই কিনে ফেলতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু না।আবুল সবকিছু কিনবে না।কারন সে ভাল করেই জানে চকচক করলেই সোনা হয় না।যা কিছু সুন্দর তা-ই যে আবুলের কাজে লাগবে এমন কোন কথা নেই।তাছাড়া এগুলো তো আর আবুলের টাকা নয়।তার ভাইজানের টাকা।ইচ্ছেমত খরচ করা যাবে না।ভাইজানকে হিসাব দিতে হবে। ওহহো... আবুলের বড় ভাই কাবুল মিয়ার কথাতো আপনাদের বলতে ভুলেই গেছি।কাবুল মিয়া আবুলের বছর পাচেকের বড়।নকল করে কোনরকমে এস এস সি পাস করেই পাড়ি জমিয়েছে দুবাই।মাসে মাসে টাকা পাঠিয়েছে যা দিয়ে সংসার চলেছে।এখনও তার আয়েই ঘর চলছে।

রম্য গল্পঃ তথ্যমন্ত্রীর ঘড়ি

বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রির স্ত্রী একবার স্বর্গ ভ্রমণের সুযোগ পেলেন।যথাসময়ে তিনি স্বগ পৌছুলেন।দেখলেন পুরো স্বগ জুড়ে শুধুই ঘড়ি আর ঘড়ি।কিন্তু একেক ঘড়িতে একেক সময়।অনেক চিন্তা ভাবনা করেও তিনি এর কারন বের করতে পারলেন না। তিনি এক দেবতার কাছে জানতে চাইলেন,"আচ্ছা পুরো স্বগ জুড়ে শুধুই ঘড়ি আর ঘড়ি কেন?আর একেক ঘড়িতে একেক সময়। সময় দেখার জন্য তো একটা ঘড়িই যথেস্ট।বাকি ঘড়িগুলোর কাজ কি?" দেবতা মুচকি হেসে বল্লেন,"এই ঘড়িগুলো পৃথিবীর একেক দেশের তথ্যমন্ত্রির জন্য বরাদ্দ।যিনি যত বেশি মিথ্যা কথা বলেন তার ঘড়ির সময় তত এগিয়ে যায়।প্রতিটি মিথ্যা কথার জন্য সময় ১৫ মিনিট এগিয়ে যায়। " "হুমম" মাথা নাড়লেন তথ্যমন্ত্রির স্ত্রী।"আমি কি একবার ঘড়িগুলো দেখতে পারি?"